ঢাকা ১০ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
নেত্রকোনায় মুদি দোকানিকে গলা কেটে হত্যা শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের আচরণবিধি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী সহ ৩ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা সাংবাদিককে আইনজীবীর হুমকি, ভূমিদস্যু-জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য শেষ কোথায় ? ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন শিবপুরে স্টার সিএনজি স্টেশনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার এবং চাঁদা দাবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজশাহীতে সরবরাহ: ‘বিবিজান’ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রতিযোগিতা: উৎসবের ভিড় ও আত্মীয়তার লড়াই

#
news image

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড় এখন পুরো এলাকায় আলোচনার বিষয়। দলের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তত ১৪ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন লিফলেট বিতরণ এবং তৃণমূল জনসংযোগে। এতে পুরো এলাকা যেন নির্বাচনী উৎসবের আমেজে রঙিন হয়ে উঠেছে।

তবে এবারের মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রার্থীদের আত্মীয় সম্পর্ক। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় আছেন—

আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী সুচি

আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাই ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ

আসাদুল্লাহ আহমেদের ভাই এনায়েত করিম তৌকি

অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সেন্টুর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার এম ফেরদৌস ইসলাম

এছাড়াও প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—আব্দুস সালাম তুহিন, আশরাফ হোসেন আলিম, তারেক আহমেদ, সৈয়দা আশরাফী পাপিয়া, ডক্টর এস এ অপু, আতাউর রহমানসহ আরও অনেকে।

ভোটার প্রতিক্রিয়া ও জনমত

স্থানীয় ভোটারদের একাংশ মনে করছেন, বহুদিন পর এই আসনে সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ভোটাররা আশা করছেন সব দলের অংশগ্রহণে এবার তারা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন।

তবে অনেকে চিন্তিত—মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বিএনপি কীভাবে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে একজনকে চূড়ান্ত করবে। দলীয় প্রতীক কার হাতে উঠবে, সেটিই এখন প্রধান আলোচনার বিষয়। একজন ভোটার মন্তব্য করেছেন, “প্রার্থী যেই হোক, শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকই নির্ধারণ করবে নবাবগঞ্জ-২ আসনের নতুন এমপি কে হবেন।”


চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ভোটারের সংখ্যা তুলনায় প্রার্থীর এত বেশি হওয়া একটি নজিরবিহীন ঘটনা। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর এই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিরল। একদিকে অল্প ভোটে এমপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে ব্যয়বহুল প্রচারণায় অনেক প্রার্থী আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন।

এবার দেখা গুরুত্বপূর্ণ—কেন এত প্রার্থী মাঠে নেমেছেন, কে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীক পাবে এবং জনগণ কার হাতে আস্থা রাখবেন।

আনোয়ার হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  11:03 PM

news image

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড় এখন পুরো এলাকায় আলোচনার বিষয়। দলের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তত ১৪ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন লিফলেট বিতরণ এবং তৃণমূল জনসংযোগে। এতে পুরো এলাকা যেন নির্বাচনী উৎসবের আমেজে রঙিন হয়ে উঠেছে।

তবে এবারের মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রার্থীদের আত্মীয় সম্পর্ক। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় আছেন—

আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী সুচি

আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাই ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ

আসাদুল্লাহ আহমেদের ভাই এনায়েত করিম তৌকি

অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সেন্টুর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার এম ফেরদৌস ইসলাম

এছাড়াও প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—আব্দুস সালাম তুহিন, আশরাফ হোসেন আলিম, তারেক আহমেদ, সৈয়দা আশরাফী পাপিয়া, ডক্টর এস এ অপু, আতাউর রহমানসহ আরও অনেকে।

ভোটার প্রতিক্রিয়া ও জনমত

স্থানীয় ভোটারদের একাংশ মনে করছেন, বহুদিন পর এই আসনে সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ভোটাররা আশা করছেন সব দলের অংশগ্রহণে এবার তারা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন।

তবে অনেকে চিন্তিত—মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বিএনপি কীভাবে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে একজনকে চূড়ান্ত করবে। দলীয় প্রতীক কার হাতে উঠবে, সেটিই এখন প্রধান আলোচনার বিষয়। একজন ভোটার মন্তব্য করেছেন, “প্রার্থী যেই হোক, শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকই নির্ধারণ করবে নবাবগঞ্জ-২ আসনের নতুন এমপি কে হবেন।”


চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ভোটারের সংখ্যা তুলনায় প্রার্থীর এত বেশি হওয়া একটি নজিরবিহীন ঘটনা। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর এই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিরল। একদিকে অল্প ভোটে এমপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে ব্যয়বহুল প্রচারণায় অনেক প্রার্থী আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন।

এবার দেখা গুরুত্বপূর্ণ—কেন এত প্রার্থী মাঠে নেমেছেন, কে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীক পাবে এবং জনগণ কার হাতে আস্থা রাখবেন।