ফরিদপুরে পাইলসের বদলে গলব্লাডার অপারেশন, রোগী সংকটাপন্ন

ফরিদপুর প্রতিনিধি :
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 3:45 AM

ফরিদপুরে পাইলসের বদলে গলব্লাডার অপারেশন, রোগী সংকটাপন্ন
ফরিদপুরের একটি প্রাইভেট হসপিটালে পাইলস অপারেশনের জন্য ভর্তি হওয়া এক নারী রোগীর গলব্লাডার অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা পালিয়ে গেছেন। পরে জেলা সিভিল সার্জন হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের সৌদি-বাংলা প্রাইভেট হাসপাতালে এই ভুল চিকিৎসার ঘটনা ঘটে।
রোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরপুর উপজেলা থেকে হ্যাপি আক্তার নামের এক নারী রোগী পাইলসের চিকিৎসার জন্য ডাঃ শোভনের তত্ত্বাবধানে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। একই সময়ে অন্য একজন রোগী পিত্তথলির অপারেশনের জন্য ডাঃ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। কিন্তু ভুলবশত হ্যাপি আক্তারকে পিত্তথলির রোগী মনে করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার গলব্লাডার কেটে ফেলা হয়।
অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হয়। তারা চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে এই ভুল চিকিৎসার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপরই চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যান।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং এই ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর জীবন এখন সংকটাপন্ন।
খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান পুলিশের একটি দল নিয়ে হাসপাতালে যান। তিনি সেখানে থাকা রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করেন এবং হাসপাতালটিতে তালা লাগিয়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, একজন রোগীকে যখন অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়, তখন তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হওয়া উচিত। এখানে চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট গাফিলতি দেখা গেছে। হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুর প্রতিনিধি :
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 3:45 AM

ফরিদপুরের একটি প্রাইভেট হসপিটালে পাইলস অপারেশনের জন্য ভর্তি হওয়া এক নারী রোগীর গলব্লাডার অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা পালিয়ে গেছেন। পরে জেলা সিভিল সার্জন হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের সৌদি-বাংলা প্রাইভেট হাসপাতালে এই ভুল চিকিৎসার ঘটনা ঘটে।
রোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরপুর উপজেলা থেকে হ্যাপি আক্তার নামের এক নারী রোগী পাইলসের চিকিৎসার জন্য ডাঃ শোভনের তত্ত্বাবধানে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। একই সময়ে অন্য একজন রোগী পিত্তথলির অপারেশনের জন্য ডাঃ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। কিন্তু ভুলবশত হ্যাপি আক্তারকে পিত্তথলির রোগী মনে করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার গলব্লাডার কেটে ফেলা হয়।
অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হয়। তারা চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে এই ভুল চিকিৎসার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপরই চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যান।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং এই ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর জীবন এখন সংকটাপন্ন।
খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান পুলিশের একটি দল নিয়ে হাসপাতালে যান। তিনি সেখানে থাকা রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করেন এবং হাসপাতালটিতে তালা লাগিয়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, একজন রোগীকে যখন অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়, তখন তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হওয়া উচিত। এখানে চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট গাফিলতি দেখা গেছে। হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।