ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
৩১ দফা বাস্তবায়নে নওগাঁয় রাতভর বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি কোম্পানীগঞ্জে এনটিআরসিএ কর্তৃক সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিটিএ'র সংবর্ধনা  উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাগেরহাটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও  মানববন্ধন মাধবপুরে খাস জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা  মাঠি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব বাগেরহাটে মহিদুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যাঃ আটক ২  বেলকুচিতে ৪৮টি গরুসহ খামার পেলেন আত্মসমর্পন করা ৬৭ চরমপন্থী শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী টঙ্গী কলেজে লিফলেট বিতরণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা বাগেরহাটের পচা দিঘী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

বদরগঞ্জে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণে সীমাহীন দুর্নীতি

#
news image

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং লোহানীপাড়া ইউনিয়নে ভিডাব্লিউবি(Vulnerable Women's Benefit program) কার্ড বিতরণে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরে সরকার থেকে ২৯৪ টি ভিডাব্লিউবি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রকৃত দুস্থদের পরিবর্তে সচ্ছল পরিবারের হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৬-৭ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
সবচেয়ে বেশি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপির ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যা মিনা টপ্পোর বিরুদ্ধে। চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রকৃত দরিদ্রদের বঞ্চিত রেখে সিসি ক্যামেরায় ঘেরা আধুনিক ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক, স্কুল শিক্ষক, চাকরিজীবী, কাপড় ব্যবসায়ী, ভুট্টা-ধান-পাট ব্যবসায়ী পর্যন্ত এই কার্ডের সুবিধাভোগী হয়েছেন। এমনকি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস আলী খানের স্ত্রীর নামও বাদ পড়েনি তালিকা থেকে।
কার্ড ধারীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে অসংখ্য কার্ডধারী নারী স্বীকার করেছেন-টাকা দিয়ে মেম্বারদের কাছ থেকে কার্ড সংগ্রহ করতে হয়েছে তাদের। কেউ কেউ আবার দালালদের মাধ্যমে অর্থ দিয়ে এই সুবিধা নিয়েছেন। ফলে তালিকায় প্রকৃত দরিদ্র পরিবারের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য।
এমন অভিযোগ কেবল লোহানীপাড়া ইউনিয়নেই সীমাবদ্ধ নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের অবস্থা একই রকম। দুর্নীতির দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই ১২ নম্বর কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদও, যেখানে আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা একইভাবে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। 
এ ব্যাপারে গত রোববার সকাল ১১ টার দিকে লোহনিপাড়া ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) প্রশাসক সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এর কাছে টাকা নিয়ে কার্ড বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।
 বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জনপ্রতিনিধিদের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। তারা মনে করেন, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই এ ধরনের সীমাহীন দুর্নীতি সংঘটিত হচ্ছে।

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :

০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  5:52 PM

news image

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং লোহানীপাড়া ইউনিয়নে ভিডাব্লিউবি(Vulnerable Women's Benefit program) কার্ড বিতরণে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরে সরকার থেকে ২৯৪ টি ভিডাব্লিউবি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রকৃত দুস্থদের পরিবর্তে সচ্ছল পরিবারের হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৬-৭ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
সবচেয়ে বেশি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপির ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যা মিনা টপ্পোর বিরুদ্ধে। চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রকৃত দরিদ্রদের বঞ্চিত রেখে সিসি ক্যামেরায় ঘেরা আধুনিক ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক, স্কুল শিক্ষক, চাকরিজীবী, কাপড় ব্যবসায়ী, ভুট্টা-ধান-পাট ব্যবসায়ী পর্যন্ত এই কার্ডের সুবিধাভোগী হয়েছেন। এমনকি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস আলী খানের স্ত্রীর নামও বাদ পড়েনি তালিকা থেকে।
কার্ড ধারীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে অসংখ্য কার্ডধারী নারী স্বীকার করেছেন-টাকা দিয়ে মেম্বারদের কাছ থেকে কার্ড সংগ্রহ করতে হয়েছে তাদের। কেউ কেউ আবার দালালদের মাধ্যমে অর্থ দিয়ে এই সুবিধা নিয়েছেন। ফলে তালিকায় প্রকৃত দরিদ্র পরিবারের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য।
এমন অভিযোগ কেবল লোহানীপাড়া ইউনিয়নেই সীমাবদ্ধ নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের অবস্থা একই রকম। দুর্নীতির দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই ১২ নম্বর কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদও, যেখানে আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা একইভাবে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। 
এ ব্যাপারে গত রোববার সকাল ১১ টার দিকে লোহনিপাড়া ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) প্রশাসক সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এর কাছে টাকা নিয়ে কার্ড বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।
 বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জনপ্রতিনিধিদের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। তারা মনে করেন, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই এ ধরনের সীমাহীন দুর্নীতি সংঘটিত হচ্ছে।