নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি আনোয়ার সম্পাদক হিলালী

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 2:47 PM

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি আনোয়ার সম্পাদক হিলালী
দীর্ঘ ১১ বছর পর নেত্রকোনা জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে ডাঃ আনোয়ারুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী নির্বাচিত হয়েছেন। দু'জনই সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব ছিলেন।
শনিবার রাতে ভোট গণনা শেষে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এম এ আউয়াল সেলিম।
এর আগে দুপুরে নেত্রকোনা পৌর শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে প্রধান অতিথি হিসাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, সালাহ উদ্দিন আহমদ। পরে বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। ফলাফলে দেখা যায়, সভাপতি পদে ডাঃ আনোয়ারুল হক ১ হাজার ২৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহফুজুল হক পান ২১১ ভোট। বাতিল ভোট সংখ্যা ৭টি। সাধারণ সম্পাদক পদে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী ৭৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আল মামুন খান রনি পেয়েছেন ৭২১ ভোট। অপর প্রার্থী এস এম মনিরুজ্জামান দুদু পেয়েছেন ১৮ ভোট। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১০টি। নেত্রকোনা বিএনপির ১০টি উপজেলা ও ৫টি পৌর কমিটির মোট ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলর প্রত্যক্ষ ভোট দেন।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর হাসান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছিল। শহরের চকপাড়ায় কোর্ট স্টেশন এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ডাঃ আনোয়ারুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম মনিরুজ্জামান দুদু।
এর আগে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন। পরে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। ওই সময় গঠিত ৬৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক করা হয় আনোয়ারুল হককে এবং সদস্যসচিব করা হয় রফিকুল ইসলামকে। এই আহ্বায়ক কমিটির অধীনেই এত দিন জেলা বিএনপির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ২০১৯ সালের ৬ অগাস্ট সে কমিটি ভেঙে দিয়ে ডাঃ আনোয়ারুল হককে আহ্বায়ক এবং ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই থেকে এই দুইজনই জেলা বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
ছাত্রাবস্থাতেই ডাঃ আনোয়ারুল হক রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন, পরে ২০১৯ সালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকে তিনি জেলা বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন। অপরদিকে রফিকুল ইসলাম হিলালী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। পরে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হিলালী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিরও সদস্য। এছাড়াও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নেত্রকোনা জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুল হক জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ২৫ ভোটে হেরে যাওয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি সাবেক যুবদল নেতা। নেত্রকোণা শহরের দাপুটে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচিত রনির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন।
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 2:47 PM

দীর্ঘ ১১ বছর পর নেত্রকোনা জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে ডাঃ আনোয়ারুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী নির্বাচিত হয়েছেন। দু'জনই সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব ছিলেন।
শনিবার রাতে ভোট গণনা শেষে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এম এ আউয়াল সেলিম।
এর আগে দুপুরে নেত্রকোনা পৌর শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে প্রধান অতিথি হিসাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, সালাহ উদ্দিন আহমদ। পরে বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। ফলাফলে দেখা যায়, সভাপতি পদে ডাঃ আনোয়ারুল হক ১ হাজার ২৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহফুজুল হক পান ২১১ ভোট। বাতিল ভোট সংখ্যা ৭টি। সাধারণ সম্পাদক পদে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী ৭৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আল মামুন খান রনি পেয়েছেন ৭২১ ভোট। অপর প্রার্থী এস এম মনিরুজ্জামান দুদু পেয়েছেন ১৮ ভোট। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১০টি। নেত্রকোনা বিএনপির ১০টি উপজেলা ও ৫টি পৌর কমিটির মোট ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলর প্রত্যক্ষ ভোট দেন।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর হাসান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছিল। শহরের চকপাড়ায় কোর্ট স্টেশন এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ডাঃ আনোয়ারুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম মনিরুজ্জামান দুদু।
এর আগে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন। পরে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। ওই সময় গঠিত ৬৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক করা হয় আনোয়ারুল হককে এবং সদস্যসচিব করা হয় রফিকুল ইসলামকে। এই আহ্বায়ক কমিটির অধীনেই এত দিন জেলা বিএনপির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ২০১৯ সালের ৬ অগাস্ট সে কমিটি ভেঙে দিয়ে ডাঃ আনোয়ারুল হককে আহ্বায়ক এবং ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই থেকে এই দুইজনই জেলা বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
ছাত্রাবস্থাতেই ডাঃ আনোয়ারুল হক রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন, পরে ২০১৯ সালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকে তিনি জেলা বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন। অপরদিকে রফিকুল ইসলাম হিলালী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। পরে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হিলালী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিরও সদস্য। এছাড়াও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নেত্রকোনা জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুল হক জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ২৫ ভোটে হেরে যাওয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি সাবেক যুবদল নেতা। নেত্রকোণা শহরের দাপুটে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচিত রনির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন।