ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
৩১ দফা বাস্তবায়নে নওগাঁয় রাতভর বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি কোম্পানীগঞ্জে এনটিআরসিএ কর্তৃক সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিটিএ'র সংবর্ধনা  উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাগেরহাটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও  মানববন্ধন মাধবপুরে খাস জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা  মাঠি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব বাগেরহাটে মহিদুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যাঃ আটক ২  বেলকুচিতে ৪৮টি গরুসহ খামার পেলেন আত্মসমর্পন করা ৬৭ চরমপন্থী শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী টঙ্গী কলেজে লিফলেট বিতরণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা বাগেরহাটের পচা দিঘী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

বেলকুচিতে বিবাদমান জমি নিয়ে হট্টগোল, সাংবাদিকের মোবাইল ছিনতাই

#
news image

 

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামে বিবাদমান জমি মাপাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের সময় ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনতাই ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তামাই খন্দকারপাড়া এলাকায় ক্রয়সূত্রে জমির মালিক বেলকুচি মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো: হারুনের সঙ্গে পাশের জমির মালিক এডভোকেট মো: আহমেদ রেজা জন্টু ও ইব্রাহিম খন্দকার গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি ও সরকারি রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার সার্ভে আমিন দ্বারা জমি মাপা হলেও তিন দিক দিয়ে সরকারি রাস্তা থাকায় সঠিক পরিমাপ সম্ভব হয়নি। এসময় মো: ইব্রাহিম ও তার বোন মোছা: শিল্পী খাতুন (আহমেদ রেজা জন্টুর বোন) আপত্তি জানান। সরকারি সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সঠিক পরিমাপের দাবি করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে মো: ইব্রাহিমের চাচা সানোয়ার খন্দকার ও জমির মালিক মো: হারুনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মদ আলীর মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে অসদাচরণ ও হুমকি প্রদান করে তামাই পশ্চিমপাড়ার মো: শাজাহানের ছেলে মো: হাবিব। পাশাপাশি মো: হারুন তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা ও সানোয়ার হোসেন ও ইব্রাহিমকে মারধরের চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, “প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জমি পরিমাপের সময় বেশ কয়েকজন আমিনের মতপার্থক্য দেখা দেয় এবং পরিমাপে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে সিদ্ধান্ত হয় সরকারী আমিন দ্বারা জমি মাপা হবে। আজ নির্ধারিত দিনে জমি মাপার সময় মো: হারুন বিভিন্ন লোকজন ও আমিন এনে জায়গা দখলের চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় আমি ভিডিও ধারণ করলে অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা চালিয়ে মোবাইল ছিনতাই করা হয়। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, মো: হারুন কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের মৃত আশকর আলীর ছেলে। তিনি তামাই মাঠপাড়ার মৃত হবিবর রহমান হবি প্রামাণিকের বড় মেয়ের জামাই। স্ত্রীর ও শ্যালকের নিকট থেকে তামাই মৌজার ২২৭১/২২৭২ দাগের ৩১ শতাংশ জায়গা ক্রয়সূত্রে নেন। এরপর থেকে স্থানীয় পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ির মালিকদের সঙ্গে জায়গা পরিমাপ নিয়ে একাধিকবার বিরোধে জড়ান। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দলীয় লোকজনকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে এনে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানান— বিবাদমান জমি ও সরকারি রাস্তার সঠিক পরিমাপ করে জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি সাংবাদিকের মোবাইল ছিনতাই ও হুমকির ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়।

খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ : 

২৪ আগস্ট, ২০২৫,  3:01 AM

news image

 

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামে বিবাদমান জমি মাপাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের সময় ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনতাই ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তামাই খন্দকারপাড়া এলাকায় ক্রয়সূত্রে জমির মালিক বেলকুচি মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো: হারুনের সঙ্গে পাশের জমির মালিক এডভোকেট মো: আহমেদ রেজা জন্টু ও ইব্রাহিম খন্দকার গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি ও সরকারি রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার সার্ভে আমিন দ্বারা জমি মাপা হলেও তিন দিক দিয়ে সরকারি রাস্তা থাকায় সঠিক পরিমাপ সম্ভব হয়নি। এসময় মো: ইব্রাহিম ও তার বোন মোছা: শিল্পী খাতুন (আহমেদ রেজা জন্টুর বোন) আপত্তি জানান। সরকারি সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সঠিক পরিমাপের দাবি করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে মো: ইব্রাহিমের চাচা সানোয়ার খন্দকার ও জমির মালিক মো: হারুনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মদ আলীর মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে অসদাচরণ ও হুমকি প্রদান করে তামাই পশ্চিমপাড়ার মো: শাজাহানের ছেলে মো: হাবিব। পাশাপাশি মো: হারুন তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা ও সানোয়ার হোসেন ও ইব্রাহিমকে মারধরের চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, “প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জমি পরিমাপের সময় বেশ কয়েকজন আমিনের মতপার্থক্য দেখা দেয় এবং পরিমাপে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে সিদ্ধান্ত হয় সরকারী আমিন দ্বারা জমি মাপা হবে। আজ নির্ধারিত দিনে জমি মাপার সময় মো: হারুন বিভিন্ন লোকজন ও আমিন এনে জায়গা দখলের চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় আমি ভিডিও ধারণ করলে অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা চালিয়ে মোবাইল ছিনতাই করা হয়। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, মো: হারুন কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের মৃত আশকর আলীর ছেলে। তিনি তামাই মাঠপাড়ার মৃত হবিবর রহমান হবি প্রামাণিকের বড় মেয়ের জামাই। স্ত্রীর ও শ্যালকের নিকট থেকে তামাই মৌজার ২২৭১/২২৭২ দাগের ৩১ শতাংশ জায়গা ক্রয়সূত্রে নেন। এরপর থেকে স্থানীয় পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ির মালিকদের সঙ্গে জায়গা পরিমাপ নিয়ে একাধিকবার বিরোধে জড়ান। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দলীয় লোকজনকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে এনে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানান— বিবাদমান জমি ও সরকারি রাস্তার সঠিক পরিমাপ করে জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি সাংবাদিকের মোবাইল ছিনতাই ও হুমকির ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়।