মাছ শিকার করে ফেরার পথে শাহ পরীর দ্বীপের ১২ জেলেকে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
২৪ আগস্ট, ২০২৫, 2:56 AM

মাছ শিকার করে ফেরার পথে শাহ পরীর দ্বীপের ১২ জেলেকে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপের ১২ জেলেকে বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি । শনিবার দুপুরে টেকনাফের নাইক্ষ্যংদিয়া উপকূলে এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত জেলেরা হলেন— মো. আলি আহমদ (৩৯), মোহাম্মদ আমিন (৩৪), ফজল করিম (৫২), কেফায়েত উল্লাহ (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৩), সাদ্দাম হোসেন (৪০), মো. রাসেল (২৩), মো. সোয়াইব (২২), আরিফ উল্লাহ (৩৫), মোহাম্মদ মোস্তাক (৩৫) ও নুরুল আমিন (৪৫)। তারা সবাই শাহ পরীর দ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
ট্রলার মালিক সোলতান আহমেদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরা শেষ করে আমার ট্রলার ঘাটের দিকে ফিরছিল। এসময় আরাকান আর্মির সদস্যরা নৌকাসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যায়। আমাদের জেলেরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছে। এর স্থায়ী সমাধান জরুরি।
স্থানীয় জেলে ও ট্রলার মালিকরা বলছেন, এ ধরনের অপহরণের ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ফলে মাছ শিকার করতে গিয়ে জেলেরা এখন চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “নৌকাসহ ১২ জেলে অপহরণের বিষয়টি আমরা জেনেছি। দ্রুত তাদের ফেরত আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদী ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ২৩০ জন জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ১৫১ জন জেলে অপহৃত হন। বিজিবির উদ্যোগে কয়েক দফায় প্রায় ২০০ জন জেলেকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
২৪ আগস্ট, ২০২৫, 2:56 AM

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপের ১২ জেলেকে বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি । শনিবার দুপুরে টেকনাফের নাইক্ষ্যংদিয়া উপকূলে এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত জেলেরা হলেন— মো. আলি আহমদ (৩৯), মোহাম্মদ আমিন (৩৪), ফজল করিম (৫২), কেফায়েত উল্লাহ (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৩), সাদ্দাম হোসেন (৪০), মো. রাসেল (২৩), মো. সোয়াইব (২২), আরিফ উল্লাহ (৩৫), মোহাম্মদ মোস্তাক (৩৫) ও নুরুল আমিন (৪৫)। তারা সবাই শাহ পরীর দ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
ট্রলার মালিক সোলতান আহমেদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরা শেষ করে আমার ট্রলার ঘাটের দিকে ফিরছিল। এসময় আরাকান আর্মির সদস্যরা নৌকাসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যায়। আমাদের জেলেরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছে। এর স্থায়ী সমাধান জরুরি।
স্থানীয় জেলে ও ট্রলার মালিকরা বলছেন, এ ধরনের অপহরণের ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ফলে মাছ শিকার করতে গিয়ে জেলেরা এখন চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “নৌকাসহ ১২ জেলে অপহরণের বিষয়টি আমরা জেনেছি। দ্রুত তাদের ফেরত আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদী ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ২৩০ জন জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ১৫১ জন জেলে অপহৃত হন। বিজিবির উদ্যোগে কয়েক দফায় প্রায় ২০০ জন জেলেকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।