ঢাকা ১০ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
নেত্রকোনায় মুদি দোকানিকে গলা কেটে হত্যা শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের আচরণবিধি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী সহ ৩ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা সাংবাদিককে আইনজীবীর হুমকি, ভূমিদস্যু-জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য শেষ কোথায় ? ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন শিবপুরে স্টার সিএনজি স্টেশনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার এবং চাঁদা দাবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজশাহীতে সরবরাহ: ‘বিবিজান’ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে জেলা শ্রমিকদলের আগের কমিটি অবৈধ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন

#
news image

ফরিদপুরে জেলা শ্রমিকদলের আগের কমিটি বাতিল ও অবৈধ দাবি করে  সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা শ্রমিকদলের নতুন কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ।
তাদের দাবি আগের কমিটির মুসা আওয়ামী লীগের আমলে
নিস্ক্রিয়তা ও আওয়ামীলীগে যোগদানের কারণে গঠণতন্ত্র অনুযায়ী অনাস্থা জানিয়ে নতুন করে গঠণতন্ত্র মোতাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, সর্বশেষ ২০১০ সালে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ফরিদপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে মোজাফফর আলী মুসাকে সভাপতি ও ওলিয়ার রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিস্ক্রিয় ভূমিকায় ছিলো আগের কমিটি। এরপর চলতি বছরের ৪ এপ্রিল সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক সভাপতিকে অনস্থা জানিয়ে এবং সভাপতিসহ সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্য ঘোষণা করে। ওই সভায় নতুন সভাপতি হিসেবে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শামসুল হক সরদারকে সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান শেখ মানাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর তাঁরা বিভিন্ন কমিটিও অনুমোদন দেন। 
এরমধ্যে গত ১৯ ও ২০ আগস্ট আগের বাতিল হওয়া কমিটির সভাপতি  মোজাফফর আলী মুসা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কমিটি অবৈধ ও সাংগঠনিক পরিপন্থী দাবি করেন। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুটি সংবাদ সম্মেলনকে বেআইনী ও প্রতারণা উল্লেখ করে এবং নিজেদের বৈধ কমিটি দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন শামসুল হক পক্ষ। 
আজ শনিবার দুপুরে জেলা শহরের স্বর্ণকুঠির মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় তাঁদের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মলনের আয়োজন করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামসুল হক। 

তিনি বলেন- শ্রমিকদলের সংবিধান মোতাবেক উনি (মুসা) ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগে যোগদানের কারণে সভাপতি পদ শূন্য হয়ে যায়। সংবিধান দেয়া ক্ষমতাবলে জেলা কমিটির অধিকাংশ সদস্য একমত হয়ে আমাকে সভাপতি ঘোষণা করেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগে যোগদান ও মারা যাওয়ার কারনে ওই পদও শূন্য হয়ে যায়। সংবিধান মোতাবেক সাধারণ সম্পাদক না থাকলে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ওই পদে থাকবে এবং সেই বলে আব্দুল মান্নান শেখ মানাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এই বলেই আমরা কাজ করতেছি এবং জেলা ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের সুপারিশে রেজ্যুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের আর কোনো নির্দেশনা দেয়নি। অর্থাৎ শ্রমিক দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা বৈধ কমিটি। এখন মুসা যত বাহানা দিচ্ছে এগুলো প্রতারণা, তাঁর কোনো বৈধতা নেই। 

এ সময় তিনি মোজাফফর আলী মুসার আওয়ামীলীগে যোগদানের বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং ও ছবি প্রদর্শন করে বলেন- ২০১৮ সালে সে আওয়ামীলীগে যোগদান করে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেছে। সেতো বিএনপির সকল নির্দেশনা অমান্য করেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন- জাল সনদে চাকরি নেয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি ও চাকরিচ্যূত হোন তিনি। যা সংবিধানের ২৯(২) ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদলে তাঁর কোনো সদস্য পদই থাকবে না। কিসের বলে সে দাবি করে, তাঁরতো সাধারণ সদস্য পদও নেই। সে কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু লোককে প্রভাবিত করে এসব করতেছ।

এছাড়া ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ৪০ টন চাউল আত্মসাৎ, শ্রমিকদের মাঝে বিতরণের জন্য ৩০০টি রিক্সা আত্মসাতের বিষয় তুলে ধরেন। 

এ সময় নতুন কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান শেখ মানা, আব্দুস সাত্তার জোদ্দার, রউফুন আলম লিমন, এমএ মজিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি জেলা বিএনপি। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা জানান- বৈধ কমিটির বিষয়ে শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বলতে পারবে। 
এবিষয়ে মোজাফফর আলী মুসার ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

২৪ আগস্ট, ২০২৫,  2:34 AM

news image

ফরিদপুরে জেলা শ্রমিকদলের আগের কমিটি বাতিল ও অবৈধ দাবি করে  সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা শ্রমিকদলের নতুন কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ।
তাদের দাবি আগের কমিটির মুসা আওয়ামী লীগের আমলে
নিস্ক্রিয়তা ও আওয়ামীলীগে যোগদানের কারণে গঠণতন্ত্র অনুযায়ী অনাস্থা জানিয়ে নতুন করে গঠণতন্ত্র মোতাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, সর্বশেষ ২০১০ সালে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ফরিদপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে মোজাফফর আলী মুসাকে সভাপতি ও ওলিয়ার রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিস্ক্রিয় ভূমিকায় ছিলো আগের কমিটি। এরপর চলতি বছরের ৪ এপ্রিল সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক সভাপতিকে অনস্থা জানিয়ে এবং সভাপতিসহ সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্য ঘোষণা করে। ওই সভায় নতুন সভাপতি হিসেবে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শামসুল হক সরদারকে সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান শেখ মানাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর তাঁরা বিভিন্ন কমিটিও অনুমোদন দেন। 
এরমধ্যে গত ১৯ ও ২০ আগস্ট আগের বাতিল হওয়া কমিটির সভাপতি  মোজাফফর আলী মুসা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কমিটি অবৈধ ও সাংগঠনিক পরিপন্থী দাবি করেন। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুটি সংবাদ সম্মেলনকে বেআইনী ও প্রতারণা উল্লেখ করে এবং নিজেদের বৈধ কমিটি দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন শামসুল হক পক্ষ। 
আজ শনিবার দুপুরে জেলা শহরের স্বর্ণকুঠির মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় তাঁদের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মলনের আয়োজন করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামসুল হক। 

তিনি বলেন- শ্রমিকদলের সংবিধান মোতাবেক উনি (মুসা) ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগে যোগদানের কারণে সভাপতি পদ শূন্য হয়ে যায়। সংবিধান দেয়া ক্ষমতাবলে জেলা কমিটির অধিকাংশ সদস্য একমত হয়ে আমাকে সভাপতি ঘোষণা করেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগে যোগদান ও মারা যাওয়ার কারনে ওই পদও শূন্য হয়ে যায়। সংবিধান মোতাবেক সাধারণ সম্পাদক না থাকলে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ওই পদে থাকবে এবং সেই বলে আব্দুল মান্নান শেখ মানাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এই বলেই আমরা কাজ করতেছি এবং জেলা ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের সুপারিশে রেজ্যুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের আর কোনো নির্দেশনা দেয়নি। অর্থাৎ শ্রমিক দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা বৈধ কমিটি। এখন মুসা যত বাহানা দিচ্ছে এগুলো প্রতারণা, তাঁর কোনো বৈধতা নেই। 

এ সময় তিনি মোজাফফর আলী মুসার আওয়ামীলীগে যোগদানের বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং ও ছবি প্রদর্শন করে বলেন- ২০১৮ সালে সে আওয়ামীলীগে যোগদান করে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেছে। সেতো বিএনপির সকল নির্দেশনা অমান্য করেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন- জাল সনদে চাকরি নেয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি ও চাকরিচ্যূত হোন তিনি। যা সংবিধানের ২৯(২) ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদলে তাঁর কোনো সদস্য পদই থাকবে না। কিসের বলে সে দাবি করে, তাঁরতো সাধারণ সদস্য পদও নেই। সে কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু লোককে প্রভাবিত করে এসব করতেছ।

এছাড়া ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ৪০ টন চাউল আত্মসাৎ, শ্রমিকদের মাঝে বিতরণের জন্য ৩০০টি রিক্সা আত্মসাতের বিষয় তুলে ধরেন। 

এ সময় নতুন কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান শেখ মানা, আব্দুস সাত্তার জোদ্দার, রউফুন আলম লিমন, এমএ মজিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি জেলা বিএনপি। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা জানান- বৈধ কমিটির বিষয়ে শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বলতে পারবে। 
এবিষয়ে মোজাফফর আলী মুসার ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।