মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, বিএনপি নেতা বহিষ্কার

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
১০ আগস্ট, ২০২৫, 12:23 AM

মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, বিএনপি নেতা বহিষ্কার
নেত্রকোনার বারহাট্টায় মসজিদের টাকা আত্মসাত ও সড়কের খোয়া লুটসহ অসংখ্য অভিযোগে নুরুল ইসলাম টিপন মিয়া (৫০) নামে এক ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগষ্ট) উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টিপন মিয়া উপজেলার সিংধা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের মাঝপাড়া এলাকার মৃত হাজী আব্দুল করিমের (চান্দু মিয়া) ছেলে।
এরআগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিপন মিয়াকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং নীতি ও আর্দশ পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. টিপন মিয়া'কে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিপন মিয়া গ্রামের মাঝপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি হন। তারপর মসজিদের দান-অনুদানের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেন। নিজের ছোট ভাইয়ের ১৪০ শতক জমি জোর করে দখল করে চাঁদা দাবি করে আসছেন। সম্প্রতি গ্রামের নির্মাণাধীন পাকা সড়ক থেকে কয়েক গাড়ি ইটের খোয়া লুট করেন টিপন মিয়া। লিজকৃত নদীর থেকে আয়ের টাকা গ্রামের লোকজনকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে এলাকার মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মিলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ করেন। পরে টিপন মিয়াকে শোকজ করা হয়। শোকজের সন্তোষজনক জবাব না দোওয়ায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
টিপন মিয়ার ছোট ভাই মো. রুকন মিয়া বলেন, আমার ১৪০ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে রেখেছে টিপন। তার কারণে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। তাকে চাঁদা না দিলে জমি ছাড়বে না। তার কারণে এলাকার মানুষ অশান্তিতে রয়েছে। এদিকে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, সড়কের ইটের খোয়া লুট, চাঁদাবাজিসহ এমন কোন কাজ নেই তিনি করছেন না। এমনকি মসজিদের উন্নয়ন কাজেও বিরাট অনিয়ম করেছেন তিনি।
মল্লিকপুর মাঝপাড়া মসজিদ কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন বলেন, টিপন নিজে নামাজ না পড়লেও দলীয় প্রভাবে মসজিদ কমিটির সভাপতি বনে যায়। মসজিদের একটি বড় পুকুর রয়েছে, এটি ৩ লাখ টাকায় লিজ দেওয়া হতো। টিপন সভাপতি হয়ে নিজেই পুকুরটি লিজ নেয়। তবে টাকা পয়সা কোনকিছুই দেয়নি। এছাড়া দান-অনুদানের টাকার কোন হিসেব নেই।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত নেতা টিপন মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই প্রতিপক্ষের লেকজন এসব ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল বলেন, বিএনপি অপকর্মে জড়িতদের প্রশয় দেয় না। দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কাজ করলে কোন ছাড় নয়।
উল্লেখ্য: অতিরিক্ত জমি লিখে না দেওয়ায় টিপন মিয়া ২০২১ সালে তার বাবা হাজী আব্দুল করিমকে পিটিয়ে চহত করেন। পরে বাবা বাদী হয়ে টিপনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
১০ আগস্ট, ২০২৫, 12:23 AM

নেত্রকোনার বারহাট্টায় মসজিদের টাকা আত্মসাত ও সড়কের খোয়া লুটসহ অসংখ্য অভিযোগে নুরুল ইসলাম টিপন মিয়া (৫০) নামে এক ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগষ্ট) উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টিপন মিয়া উপজেলার সিংধা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের মাঝপাড়া এলাকার মৃত হাজী আব্দুল করিমের (চান্দু মিয়া) ছেলে।
এরআগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিপন মিয়াকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং নীতি ও আর্দশ পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. টিপন মিয়া'কে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিপন মিয়া গ্রামের মাঝপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি হন। তারপর মসজিদের দান-অনুদানের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেন। নিজের ছোট ভাইয়ের ১৪০ শতক জমি জোর করে দখল করে চাঁদা দাবি করে আসছেন। সম্প্রতি গ্রামের নির্মাণাধীন পাকা সড়ক থেকে কয়েক গাড়ি ইটের খোয়া লুট করেন টিপন মিয়া। লিজকৃত নদীর থেকে আয়ের টাকা গ্রামের লোকজনকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে এলাকার মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মিলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ করেন। পরে টিপন মিয়াকে শোকজ করা হয়। শোকজের সন্তোষজনক জবাব না দোওয়ায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
টিপন মিয়ার ছোট ভাই মো. রুকন মিয়া বলেন, আমার ১৪০ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে রেখেছে টিপন। তার কারণে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। তাকে চাঁদা না দিলে জমি ছাড়বে না। তার কারণে এলাকার মানুষ অশান্তিতে রয়েছে। এদিকে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, সড়কের ইটের খোয়া লুট, চাঁদাবাজিসহ এমন কোন কাজ নেই তিনি করছেন না। এমনকি মসজিদের উন্নয়ন কাজেও বিরাট অনিয়ম করেছেন তিনি।
মল্লিকপুর মাঝপাড়া মসজিদ কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন বলেন, টিপন নিজে নামাজ না পড়লেও দলীয় প্রভাবে মসজিদ কমিটির সভাপতি বনে যায়। মসজিদের একটি বড় পুকুর রয়েছে, এটি ৩ লাখ টাকায় লিজ দেওয়া হতো। টিপন সভাপতি হয়ে নিজেই পুকুরটি লিজ নেয়। তবে টাকা পয়সা কোনকিছুই দেয়নি। এছাড়া দান-অনুদানের টাকার কোন হিসেব নেই।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত নেতা টিপন মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই প্রতিপক্ষের লেকজন এসব ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল বলেন, বিএনপি অপকর্মে জড়িতদের প্রশয় দেয় না। দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কাজ করলে কোন ছাড় নয়।
উল্লেখ্য: অতিরিক্ত জমি লিখে না দেওয়ায় টিপন মিয়া ২০২১ সালে তার বাবা হাজী আব্দুল করিমকে পিটিয়ে চহত করেন। পরে বাবা বাদী হয়ে টিপনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।