চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ৫ই আগষ্ট ২০২৫ (মঙ্গলবার) বিকেলে “জুলাই আন্দোলনের” প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণমিছিলের আয়োজন করে ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।

 

এতে ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীরা ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণ করে।

 

বিকেল ৫টায় ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফটিকছড়ি বাসস্ট্যান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

 

থানা আমীর নাজিম উদ্দীন ইমুর সভাপতিত্বে ও মাওলানা ইউসুফ বিন সিরাজের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম উত্তর জেলার শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সহকারী অফিস সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা  এজহারুল ইসলাম, উত্তর জেলা যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সেক্রেটারি ও বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, উত্তর জেলা শুরা সদস্য ও ফটিকছড়ি থানা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির   অ্যাডভোকেট ইসমাইল গনি, ফটিকছড়ি থানার সাবেক আমির মাওলানা নুরুল আলম আজাদ ও সাবেক আমির মাস্টার নাজিম উদ্দিন সিকদার, শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুর রহিম, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর সেলিম উদ্দিন, ফটিকছড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি গাজী মো: বেলাল উদ্দিন, ফটিকছড়ি থানা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, নানুপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাওলানা তৈয়ব আলী নুরী, ধর্মপুর ইউনিয়ন সভাপতি আবু জাফর মোহাম্মদ আলম, বখতপুর ইউনিয়ন সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, লেলাং ইউনিয়ন সভাপতি অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন, সুন্দরপুর ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, ফটিকছড়ি থানা যুব ও ক্রিড়া বিভাগের  সভাপতি মো: নবীর হোসেন মাসুদসহ ফটিকছড়ির বিভিন্ন ইউনিয়ন/পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান ছিল দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। জনমতের প্রতি চরম অবজ্ঞা করে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার গঠিত হয়েছিল। সেই স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই সোচ্চার ছিল এবং ভবিষ্যতেও ইসলামী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে অগ্রসর থাকবে ইনশাআল্লাহ।

বক্তারা আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্তা চালু করতে হবে।

দেশের প্রতিটি স্তরে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয়।

সভায় জামায়াতে ইসলামীর সাত দফা দাবির গুরুত্ব তুলে ধরে জনগণকে তা বাস্তবায়নে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

‎

একইদিন ‎মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) বিকেলে ভূজপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনেও ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান ও বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

‎এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন বলেন,

‎“হাসিনা পতনের  মাধ্যমে এ দেশের  মানুষ নতুন বিজয় অর্জন করেছে, জনমতের প্রতি চরম অবজ্ঞা করে শেখ হাসিনা একটি ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামি অতীতেও সোচ্চার ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা সব ধরনের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবো।”

‎

‎ভূজপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ভূজপুর থানা শাখার সভাপতি আব্দুল জলিল, থানা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা আহমদ হোসেন, বায়তুল মাল সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত, ভুজপুর শ্রমিক কল্যাণের সেক্রেটারি এবিএম সিদ্দিক, রাঙ্গামাটি জেলা শিবির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, দাঁতমারা ইউনিয়ন আমীর মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণহাট ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আবু আজম এবং ভূজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা শফিউল আলম নূরী।

‎

‎সমাবেশের পূর্বে একটি বর্ণাঢ্য গণমিছিল বের করা হয়, যা স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ হয়।