ঢাকা ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আরোচনা সভা অনুষ্ঠিত

#
news image

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ নদীগুলোকে জীবন্ত সত্বা ঘোষণা করা হলেও আদালতের নির্দেশনার নিজেই এটি বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা। আদালত তার নির্দেশনায় ১৯২৬ সালের সিএস খতিয়ান অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণের কথা বলেছে। কিন্তু শত বছরের পুরোনো ওই রেকর্ড অনুযায়ী উচ্ছেদ করতে গেলে শত জনপদ গুড়িয়ে দিতে হবে। যা কখনো বাস্তবসম্মত নয়।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ নদী বাচাও আন্দোলনের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে নদী আইন বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি গেরিলা লিডার ড. এস এস শফিকুল ইসলাম কানু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার আমিনুল হক টুটুল, ইকরাম এলাহি খান সাজ, প্রকৌশলী ড. মো. লুৎফর রহমান, কর্ণেল (অব) ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, ড. আব্দুল হালিম পাটোয়ারী, ব্যারিষ্টার কাজী আক্তার হোসাইন, এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, মিহির বিশ্বাস, ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এ্যাড মো. শহীদুল্লাহ, মো. তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল, ঢাকা মহানগর সভাপতি মহসীনুল করিম লেবু, সাংবাদিক রফিক মোল্লা, কবি জামান ভূঁইয়া, খন্দকার হাসিবুর রহমান, শামীম মোহাম্মদ, হাসিবুল হক পুনম, মো. শহীদুল্লাহ, ও এ্যাডভোকেট নদী। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. বোরহান উদ্দিন অরণ্য ।

সংগঠনের নেতাদের নতুন করে ভাববার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন কারণ আদালত নির্দেশনাটি দিয়েছিল আবেগের বশবর্তী হয়ে। অবশ্যই নতুন রেকর্ড আরএস ও বিএস অনুসরণ করে নদীর সীমানা নির্ধারণে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

এজন্য জনে জনে জনমত তৈরি করে প্রশাসনকে সহায়তা করে নদী রক্ষা করতে হবে। প্রতি জেলায় জনমত গড়ে তুলতে হবে। নদী দখলকারীদের নামের তালিকা তৈরি করে সরকারকে জানাতে হবে। আদালতে সব ধরণের সহযোগিত করা হবে। প্রয়োজনে এসব অবৈধ দখলদারদের নির্বাচনসহ সকলক্ষেত্রে অযোগ্য করা হবে। এজন্য নতুন করে প্যানটোগ্রাফ করে কাজ করতে হবে।

অবিলম্বে চীনের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর ও চীনের মাধ্যমে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদত বলেন, ২০০৫ সালে গঠিত হয়ে অদ্যাবদী নদী রক্ষার আন্দোলনে স্বক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন। তিস্তা চুক্তি হওয়ার পর সকল ট্রান্সবাউন্ডারী নদী সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পদক্ষেপ নিতে হবে।

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নদী আইন বাস্তবায়ন ছাড়া নদী রক্ষা কোনভাবেই সম্ভব নয় । কাজেই নদী আইন বাস্তবায়নে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগে গ্রহণ করতে হবে এবং নদী আদালত গঠন করতে হবে।

এস এম ইকবাল হোসেন, গাজীপুর :

০১ ডিসেম্বর, ২০২৪,  2:08 PM

news image
.

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ নদীগুলোকে জীবন্ত সত্বা ঘোষণা করা হলেও আদালতের নির্দেশনার নিজেই এটি বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা। আদালত তার নির্দেশনায় ১৯২৬ সালের সিএস খতিয়ান অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণের কথা বলেছে। কিন্তু শত বছরের পুরোনো ওই রেকর্ড অনুযায়ী উচ্ছেদ করতে গেলে শত জনপদ গুড়িয়ে দিতে হবে। যা কখনো বাস্তবসম্মত নয়।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ নদী বাচাও আন্দোলনের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে নদী আইন বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি গেরিলা লিডার ড. এস এস শফিকুল ইসলাম কানু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার আমিনুল হক টুটুল, ইকরাম এলাহি খান সাজ, প্রকৌশলী ড. মো. লুৎফর রহমান, কর্ণেল (অব) ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, ড. আব্দুল হালিম পাটোয়ারী, ব্যারিষ্টার কাজী আক্তার হোসাইন, এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, মিহির বিশ্বাস, ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এ্যাড মো. শহীদুল্লাহ, মো. তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল, ঢাকা মহানগর সভাপতি মহসীনুল করিম লেবু, সাংবাদিক রফিক মোল্লা, কবি জামান ভূঁইয়া, খন্দকার হাসিবুর রহমান, শামীম মোহাম্মদ, হাসিবুল হক পুনম, মো. শহীদুল্লাহ, ও এ্যাডভোকেট নদী। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. বোরহান উদ্দিন অরণ্য ।

সংগঠনের নেতাদের নতুন করে ভাববার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন কারণ আদালত নির্দেশনাটি দিয়েছিল আবেগের বশবর্তী হয়ে। অবশ্যই নতুন রেকর্ড আরএস ও বিএস অনুসরণ করে নদীর সীমানা নির্ধারণে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

এজন্য জনে জনে জনমত তৈরি করে প্রশাসনকে সহায়তা করে নদী রক্ষা করতে হবে। প্রতি জেলায় জনমত গড়ে তুলতে হবে। নদী দখলকারীদের নামের তালিকা তৈরি করে সরকারকে জানাতে হবে। আদালতে সব ধরণের সহযোগিত করা হবে। প্রয়োজনে এসব অবৈধ দখলদারদের নির্বাচনসহ সকলক্ষেত্রে অযোগ্য করা হবে। এজন্য নতুন করে প্যানটোগ্রাফ করে কাজ করতে হবে।

অবিলম্বে চীনের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর ও চীনের মাধ্যমে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদত বলেন, ২০০৫ সালে গঠিত হয়ে অদ্যাবদী নদী রক্ষার আন্দোলনে স্বক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন। তিস্তা চুক্তি হওয়ার পর সকল ট্রান্সবাউন্ডারী নদী সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পদক্ষেপ নিতে হবে।

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নদী আইন বাস্তবায়ন ছাড়া নদী রক্ষা কোনভাবেই সম্ভব নয় । কাজেই নদী আইন বাস্তবায়নে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগে গ্রহণ করতে হবে এবং নদী আদালত গঠন করতে হবে।