বাগেরহাটে আসন কর্তনের প্রতিবাদে সর্বদলীয় ঐক্য জোটের সংবাদ সম্মেলন, কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

সৈয়দ ওবায়দুল হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
৩১ জুলাই, ২০২৫, 10:16 PM

বাগেরহাটে আসন কর্তনের প্রতিবাদে সর্বদলীয় ঐক্য জোটের সংবাদ সম্মেলন, কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাগেরহাট জেলার একটি সংসদীয় আসন কর্তনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে সর্বদলীয় ঐক্য জোটের ব্যানারে এক প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জেলার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত আসন কর্তনকে ষড়যন্ত্রমূলক অগণতান্ত্রিক’ ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব সংকুচিত করার গভীর অপচেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসনের একটি বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশন ও সরকারের যৌথ ষড়যন্ত্রের ফল। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হলে শুধু বাগেরহাট নয়, সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ রাজনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা এই ষড়যন্ত্র কখনোই মেনে নেব না।
সংবাদ সম্মেলন আরও বলেন, বাগেরহাট জেলার ইতিহাস, জনসংখ্যা, ভৌগলিক বিস্তার এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় জেলার চারটি আসনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তাই কোনো আসন কর্তন নয়, বরং এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে নতুন আসন যোগ করা উচিত।
বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সমন্বয়ক এম এ সালাম।
এ সময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন জেলা, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুল নাছির আলাপ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শীপন, জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও সভাপতি যুব বিভাগ মুঞ্জুরুল হক রাহাত, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি মুফতি রমিজ উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা আমীর রেজাউল করিম সেক্রেটারী শেখ মোহাম্মদ ইউনুছ আলী ও জেলা শাখার নায়েবে আমির এ্যাড আব্দুল ওয়াদুদ জেলা যুব বিভাগের সভাপতি ও বাগেরহাট কচুয়া (বাগেরহাট ২) জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ সহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচি ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, আসন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে জেলায় কঠোর আন্দোলনের সূচনা হবে।
শনিবার (২ আগস্ট) জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল রোববার (৩ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এরপর দাবি পূরণ না হলে জেলাব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এটি এখন শুধু রাজনৈতিক দাবি নয় এটি জেলার মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই আন্দোলন জোরদার করব।
ঐক্য, সংহতি ও হুঁশিয়ারি বক্তারা জেলার সর্বস্তরের জনগণ, নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, ছাত্র ও যুবসমাজকে এই আন্দোলনে একতাবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তারা বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে আমরা বাগেরহাটের স্বার্থে এক হয়েছি। আসন কর্তনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হলে তা বাগেরহাটবাসীর মর্যাদায় আঘাত করবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে আমরা বাধ্য হব।
একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন,আপনারা সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে যদি জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেন, তাহলে সেই শপথ ভঙ্গের জন্য একদিন আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে।
উত্তেজিত রাজনৈতিক অঙ্গন সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে বাগেরহাটে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন আসন কর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে জেলায় রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে এবং এর বিরূপ প্রভাব পড়বে সামগ্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর।
বাগেরহাটবাসী এখন নজর রাখছে নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে। তবে জেলা নেতৃবৃন্দের স্পষ্ট ঘোষণা এই সিদ্ধান্ত বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে থামবে না
সৈয়দ ওবায়দুল হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
৩১ জুলাই, ২০২৫, 10:16 PM

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাগেরহাট জেলার একটি সংসদীয় আসন কর্তনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে সর্বদলীয় ঐক্য জোটের ব্যানারে এক প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জেলার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত আসন কর্তনকে ষড়যন্ত্রমূলক অগণতান্ত্রিক’ ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব সংকুচিত করার গভীর অপচেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসনের একটি বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশন ও সরকারের যৌথ ষড়যন্ত্রের ফল। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হলে শুধু বাগেরহাট নয়, সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ রাজনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা এই ষড়যন্ত্র কখনোই মেনে নেব না।
সংবাদ সম্মেলন আরও বলেন, বাগেরহাট জেলার ইতিহাস, জনসংখ্যা, ভৌগলিক বিস্তার এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় জেলার চারটি আসনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তাই কোনো আসন কর্তন নয়, বরং এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে নতুন আসন যোগ করা উচিত।
বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সমন্বয়ক এম এ সালাম।
এ সময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন জেলা, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুল নাছির আলাপ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শীপন, জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও সভাপতি যুব বিভাগ মুঞ্জুরুল হক রাহাত, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি মুফতি রমিজ উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা আমীর রেজাউল করিম সেক্রেটারী শেখ মোহাম্মদ ইউনুছ আলী ও জেলা শাখার নায়েবে আমির এ্যাড আব্দুল ওয়াদুদ জেলা যুব বিভাগের সভাপতি ও বাগেরহাট কচুয়া (বাগেরহাট ২) জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ সহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচি ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, আসন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে জেলায় কঠোর আন্দোলনের সূচনা হবে।
শনিবার (২ আগস্ট) জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল রোববার (৩ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এরপর দাবি পূরণ না হলে জেলাব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এটি এখন শুধু রাজনৈতিক দাবি নয় এটি জেলার মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই আন্দোলন জোরদার করব।
ঐক্য, সংহতি ও হুঁশিয়ারি বক্তারা জেলার সর্বস্তরের জনগণ, নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, ছাত্র ও যুবসমাজকে এই আন্দোলনে একতাবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তারা বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে আমরা বাগেরহাটের স্বার্থে এক হয়েছি। আসন কর্তনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হলে তা বাগেরহাটবাসীর মর্যাদায় আঘাত করবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে আমরা বাধ্য হব।
একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন,আপনারা সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে যদি জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেন, তাহলে সেই শপথ ভঙ্গের জন্য একদিন আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে।
উত্তেজিত রাজনৈতিক অঙ্গন সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে বাগেরহাটে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন আসন কর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে জেলায় রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে এবং এর বিরূপ প্রভাব পড়বে সামগ্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর।
বাগেরহাটবাসী এখন নজর রাখছে নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে। তবে জেলা নেতৃবৃন্দের স্পষ্ট ঘোষণা এই সিদ্ধান্ত বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে থামবে না
সম্পর্কিত