ঢাকা ১৭ জুলাই, ২০২৫
শিরোনামঃ
পিরোজপুরে জুলাই শহীদ দিবস এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত তেঁতুলিয়ায় বিএম কলেজে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ: পুনঃতদন্ত করলেন আঞ্চলিক পরিচালক জাতীয় সমাবেশ সফল করতে বাগেরহাটে জামায়াতের মিছিল অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে জরবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও  নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে সংলাপ বাগেরহাটে ক্রীড়া সামগ্রী ও বেঞ্চ বিতারন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরিয়ে ফেলা হয়েছে আবু সাঈদ হত্যার বিচার তাঁর বাবা দেখে যেতে পারবেন: আইন উপদেষ্টা বেরোবিতে শহীদ পরিবারের প্রতি ব্যতিক্রমী শ্রদ্ধা: মঞ্চের নিচে বসলেন উপদেষ্টারা পোস্টকার্ডের মাধ্যমে ১ লাখ গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক স্মৃতিকথা সংগ্রহের উদ্যোগ ১৬ জুলাই: আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয় আন্দোলন

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায় আছে: বিশ্বব্যাংক

#
news image

বাংলাদেশের বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা প্রায় এক বছর আগের তুলনায় খুবই ভালো অবস্থায় আছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক।

সচিবালয়ে আজ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য হচ্ছে-বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুবই ভালো।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে উঠতে পারে।  কিন্তু এখন আমরা মনে করছি আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন দায়িত্বে জোহানেস জুট এখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম দেখবেন এবং তার অফিস ওয়াশিংটনের পরিবর্তে নয়াদিল্লিতে থাকবে।

তিনি বলেন, জোহানেস জুট বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার বিষয়ে অবহিত আছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে প্রায় এক বছর আগে মনে করা হলেও, বর্তমানে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের আর্থিক খাত, পেমেন্ট ব্যালান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রা খাতের উন্নত অবস্থা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, জোহানেস জুট বেসরকারি খাতের বিকাশ এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলে স্বীকার করেছেন জোহানেস জুট। 

তিনি আরও বলেন, ১০-১২ বছর আগে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে পরিবর্তন হয়েছে, তা জুট ইতিবাচকভাবে উল্লেখ করেছেন।

বৈঠকে আইএফসি’র কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়ও আলোচনা হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া সব সহায়তা  পেয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ গ্রুপের বার্ষিক সভায় প্রত্যাশিত সহায়তার পরবর্তী ধাপ উত্থাপন করা হবে ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতে, বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শুরু হয়েছে এবং এনবিআরকে দুটি পৃথক সংস্থায় বিভাজনের সিদ্ধান্তের পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় বিশ্বব্যাংক, যদিও এতে কিছুটা সময় লাগবে।

সালেহউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, লালদিয়ায় কনটেইনার টার্মিনাল সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে এবং  বিশ্বব্যাংক অবকাঠামো খাতে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।

মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও আলোচনা প্রতিনিধি দলের প্রধান দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট গতকাল ঢাকায় এসেছেন।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই অনুদান বা স্বল্প সুদে ঋণ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

১৪ জুলাই, ২০২৫,  12:17 AM

news image

বাংলাদেশের বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা প্রায় এক বছর আগের তুলনায় খুবই ভালো অবস্থায় আছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক।

সচিবালয়ে আজ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য হচ্ছে-বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুবই ভালো।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে উঠতে পারে।  কিন্তু এখন আমরা মনে করছি আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন দায়িত্বে জোহানেস জুট এখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম দেখবেন এবং তার অফিস ওয়াশিংটনের পরিবর্তে নয়াদিল্লিতে থাকবে।

তিনি বলেন, জোহানেস জুট বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার বিষয়ে অবহিত আছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে প্রায় এক বছর আগে মনে করা হলেও, বর্তমানে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের আর্থিক খাত, পেমেন্ট ব্যালান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রা খাতের উন্নত অবস্থা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, জোহানেস জুট বেসরকারি খাতের বিকাশ এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলে স্বীকার করেছেন জোহানেস জুট। 

তিনি আরও বলেন, ১০-১২ বছর আগে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে পরিবর্তন হয়েছে, তা জুট ইতিবাচকভাবে উল্লেখ করেছেন।

বৈঠকে আইএফসি’র কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়ও আলোচনা হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া সব সহায়তা  পেয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ গ্রুপের বার্ষিক সভায় প্রত্যাশিত সহায়তার পরবর্তী ধাপ উত্থাপন করা হবে ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতে, বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শুরু হয়েছে এবং এনবিআরকে দুটি পৃথক সংস্থায় বিভাজনের সিদ্ধান্তের পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় বিশ্বব্যাংক, যদিও এতে কিছুটা সময় লাগবে।

সালেহউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, লালদিয়ায় কনটেইনার টার্মিনাল সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে এবং  বিশ্বব্যাংক অবকাঠামো খাতে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।

মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও আলোচনা প্রতিনিধি দলের প্রধান দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট গতকাল ঢাকায় এসেছেন।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই অনুদান বা স্বল্প সুদে ঋণ।