ইরান অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে

অনলাইন ডেক্স :
১৪ মার্চ, ২০২৫, 6:23 AM

ইরান অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে
চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির ফলে ‘বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট’ বা‘ অস্থি মজ্জা’ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ইরান বিশ্বের তিনটি শীর্ষস্থানীয় দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
‘ইরনা’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান চিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি হল অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন।
লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মাল্টিপল মায়েলোমা এবং অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ার মতো অন্যান্য হেমাটোলজিক্যাল ম্যালিগন্যান্সিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রতিস্থাপনটি অনেকগুলো অনকোলজিকাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে যা কেমোথেরাপিতে সাড়া দেয় না। যেমন টেস্টিকুলার ক্যান্সার, নিউরোব্লাস্টোমা এবং মেডুলোব্লাস্টোমা। সেইসাথে থ্যালাসেমিয়া, সিকেল সেল ডিজিজ, পোরফাইরিয়া এবং গুরুতর ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডারের মতো জন্মগত ব্যাধি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এই ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি জ্ঞানভিত্তিক ইরানি কোম্পানি অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের রোগীদের জন্য বিশেষভাবে অ্যালোজেনিক সেল থেরাপি ড্রাগ ‘ডেস্ট্রোসেল’ তৈরি করেছে, যা এই ক্ষেত্রের রোগীদের জন্য অনেক সহায়ক। ডেট্রোসেল ওষুধটি গ্র্যাফট-ভার্সাস-হোস্ট ডিজিজ বা জিভিএইচডি-এর জটিলতা কমাতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ইরানের জৈব-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা-প্রযুক্তি সদর দপ্তরের সচিব মোস্তফা কানেয়ী ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর ডেস্ট্রোসেল ওষুধের উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনে ইরান এই অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি। তাই ইরানের অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের পরিসংখ্যান এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে।’
ইরানে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের ইতিহাস তিন দশকেরও বেশি পুরোনো। দেশটির স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী জাফরিয়ান চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছেন, ইরানে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
অনলাইন ডেক্স :
১৪ মার্চ, ২০২৫, 6:23 AM

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির ফলে ‘বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট’ বা‘ অস্থি মজ্জা’ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ইরান বিশ্বের তিনটি শীর্ষস্থানীয় দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
‘ইরনা’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান চিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি হল অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন।
লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মাল্টিপল মায়েলোমা এবং অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ার মতো অন্যান্য হেমাটোলজিক্যাল ম্যালিগন্যান্সিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রতিস্থাপনটি অনেকগুলো অনকোলজিকাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে যা কেমোথেরাপিতে সাড়া দেয় না। যেমন টেস্টিকুলার ক্যান্সার, নিউরোব্লাস্টোমা এবং মেডুলোব্লাস্টোমা। সেইসাথে থ্যালাসেমিয়া, সিকেল সেল ডিজিজ, পোরফাইরিয়া এবং গুরুতর ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডারের মতো জন্মগত ব্যাধি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এই ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি জ্ঞানভিত্তিক ইরানি কোম্পানি অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের রোগীদের জন্য বিশেষভাবে অ্যালোজেনিক সেল থেরাপি ড্রাগ ‘ডেস্ট্রোসেল’ তৈরি করেছে, যা এই ক্ষেত্রের রোগীদের জন্য অনেক সহায়ক। ডেট্রোসেল ওষুধটি গ্র্যাফট-ভার্সাস-হোস্ট ডিজিজ বা জিভিএইচডি-এর জটিলতা কমাতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ইরানের জৈব-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা-প্রযুক্তি সদর দপ্তরের সচিব মোস্তফা কানেয়ী ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর ডেস্ট্রোসেল ওষুধের উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনে ইরান এই অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি। তাই ইরানের অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের পরিসংখ্যান এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে।’
ইরানে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের ইতিহাস তিন দশকেরও বেশি পুরোনো। দেশটির স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী জাফরিয়ান চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছেন, ইরানে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।