মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় জামায়াত নেতার পা ভাঙলেন বিএনপি নেতা
কামাল উদ্দীন চৌধুরী,ফটিকছড়িঃ
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 2:15 PM
মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় জামায়াত নেতার পা ভাঙলেন বিএনপি নেতা
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় এক জামায়াত নেতার পা ভেঙ্গে দিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাগান বাজার ইউনিয়নের শিকদারখিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত জামায়াত নেতা মো. ইউনুস মিয়া সুমন (৪৮) বাগান বাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং ভূজপুর থানা জামায়াত ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ইউনুসকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী মিরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাটস্থ একটি বেসরকারী হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত মোহাম্মদ বেলাল ড্রাইভার গত ১৬ জানুয়ারী বাগান বাজার এলাকায় বালিরমহালে চাঁদাবাজির অভিযোগে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্টেট পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ডিত হয়ে এক মাস জেল কাটেন। সম্প্রতি ছাড়া পেয়ে তিনি সাক্ষী হওয়া ইউনুসের উপর ক্ষুদ্ধ হন। বেলাল বাগান বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য।
পা ভাঙ্গা মো. ইউনুস মিয়া সুমন বলেন, ‘দুপুরে ভূজপুর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শিকদারখিল এলাকায় পৌঁছালে চাঁদাবাজ বেলাল ড্রাইভার ও তার সাথে থাকা ৫-৬ জন বিএনপির ছেঁচড়া কর্মী আমার গতিরোধ করেন। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই সেদিন কেন মামলার সাক্ষী হয়েছি তা জানতে চান। বাড়াবাড়ির এক পর্যায়ে তারা সকলে আমার উপর হামলে পড়েন। পরে সবাই মিলে আমার বাম পা ভেঙে দেন।’
বাগান বাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামুল হক বাবুল বলেন, ‘এখানে বিএনপির কোন নেতাকর্মী অপরাজনীতি করতে পারেন না। চাঁদাবাজদের জায়গা বিএনপিতে নেই। যারাই এ ঘটনা করুক তাদের আইনের আওতায় আনা হউক।’
ভুজপুর থানা জামায়াতের সাবেক আমীর মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘প্রশাসনের অনুরোধে ইউনুস মামলার সাক্ষী হয়েছেন। তাই বলে তিনি অপরাধী নন। জামায়াতে ইসলামী বিষয়টি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে। আমরা দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী করছি।’
ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক বলেন, ‘পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ইউনুসের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি। আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
কামাল উদ্দীন চৌধুরী,ফটিকছড়িঃ
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 2:15 PM
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় এক জামায়াত নেতার পা ভেঙ্গে দিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাগান বাজার ইউনিয়নের শিকদারখিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত জামায়াত নেতা মো. ইউনুস মিয়া সুমন (৪৮) বাগান বাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং ভূজপুর থানা জামায়াত ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ইউনুসকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী মিরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাটস্থ একটি বেসরকারী হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত মোহাম্মদ বেলাল ড্রাইভার গত ১৬ জানুয়ারী বাগান বাজার এলাকায় বালিরমহালে চাঁদাবাজির অভিযোগে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্টেট পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ডিত হয়ে এক মাস জেল কাটেন। সম্প্রতি ছাড়া পেয়ে তিনি সাক্ষী হওয়া ইউনুসের উপর ক্ষুদ্ধ হন। বেলাল বাগান বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য।
পা ভাঙ্গা মো. ইউনুস মিয়া সুমন বলেন, ‘দুপুরে ভূজপুর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শিকদারখিল এলাকায় পৌঁছালে চাঁদাবাজ বেলাল ড্রাইভার ও তার সাথে থাকা ৫-৬ জন বিএনপির ছেঁচড়া কর্মী আমার গতিরোধ করেন। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই সেদিন কেন মামলার সাক্ষী হয়েছি তা জানতে চান। বাড়াবাড়ির এক পর্যায়ে তারা সকলে আমার উপর হামলে পড়েন। পরে সবাই মিলে আমার বাম পা ভেঙে দেন।’
বাগান বাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামুল হক বাবুল বলেন, ‘এখানে বিএনপির কোন নেতাকর্মী অপরাজনীতি করতে পারেন না। চাঁদাবাজদের জায়গা বিএনপিতে নেই। যারাই এ ঘটনা করুক তাদের আইনের আওতায় আনা হউক।’
ভুজপুর থানা জামায়াতের সাবেক আমীর মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘প্রশাসনের অনুরোধে ইউনুস মামলার সাক্ষী হয়েছেন। তাই বলে তিনি অপরাধী নন। জামায়াতে ইসলামী বিষয়টি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে। আমরা দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী করছি।’
ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক বলেন, ‘পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ইউনুসের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি। আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
সম্পর্কিত