ঢাকা ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
সরিষাবাড়ীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল গাজীপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  গাজীপুরে কৃষক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  পিরোজপুরে  সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম মামুনের উপর অতর্কিত হামলা বাগেরহাট যুবদলের কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার সহায়তা করবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বেগম খালেদা জিয়া : জাহিদ হোসেন এলপিজি দাম সমন্বয় করেছে সরকার

জরিমানার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ! ফটিকছড়িতে যোগদানের ২৮দিনেই এসিল্যান্ডের পূনঃ বদলির আদেশ

#
news image

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিনের বিরুদ্ধে  মোবাইল কোর্টের জরিমানার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনায় এখন 'টক অব দ্যা ফটিকছড়ি'তে পরিণত হয়েছে।
উপজেলার সুয়াবিল এলাকায় অবৈধ টিলা কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানার বড় একটি অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে এসিল্যান্ডের পকেটে ভরার অভিযোগ এনেছেন আমান উল্লাহ নামে স্থানীয় এক যুবদল নেতা। 
এঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি এসিল্যান্ড হিসেবে ফটিকছড়িতে তাঁর যোগদানের ২৮ দিনের মাথায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বদলির আদেশের বিষয়টি এখন টক অব দ্যা ফটিকছড়িতে পরিণত হয়েছে।
 
সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সুয়াবিল এলাকায় অবৈধ উপায়ে টিলা কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল আমিন। সেখান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর ও দুটি ড্রাম ট্রাক আটক করে প্রশাসনের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
 
পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ফেব্রুয়ারী) ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে এস্কেভেটর ও গাড়ি দুটিকে ছেড়ে দেয়া হলেও রার্ষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন এক লক্ষ দশ হাজার টাকা। 
 
এবিষয়ে অভিযোগকারী যুবদল নেতা আমান উল্লাহ বলেন- টিলা কাটার অপরাধে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালিয়ে এসিল্যান্ড আমার একটি এস্কেভেটর ও দুইটি ড্রামট্রাক আটক করে নিয়ে যায়। পরদিন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। 
তিনি  আরো বলেন- এ কাজে এসিল্যান্ডের সাথে মধ্যস্থতা করিয়ে দেয়ায় ওই অফিসের পিয়নকেও ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন- জরিমানার অংক ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বলে ভূলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেদিনের আদায়কৃত অর্থের রশিদ দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে এসিল্যান্ড জানান, যেদিন গাড়িগুলো ছাড়িয়ে নেয়, সে দিন আমি ছুটিতে যাচ্ছিলাম, তাড়াহুড়ার কারনে রশিদ দিতে পারিনি। 
 
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন- এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা  হবে। তবে তাঁর বদলির আদেশের ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার স্যার ভাল বলতে পারবেন। এমন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। 

কামাল উদ্দীন চৌধুরী, ফটিকছড়িঃ

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  4:38 PM

news image
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিনের বিরুদ্ধে  মোবাইল কোর্টের জরিমানার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনায় এখন 'টক অব দ্যা ফটিকছড়ি'তে পরিণত হয়েছে।
উপজেলার সুয়াবিল এলাকায় অবৈধ টিলা কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানার বড় একটি অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে এসিল্যান্ডের পকেটে ভরার অভিযোগ এনেছেন আমান উল্লাহ নামে স্থানীয় এক যুবদল নেতা। 
এঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি এসিল্যান্ড হিসেবে ফটিকছড়িতে তাঁর যোগদানের ২৮ দিনের মাথায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বদলির আদেশের বিষয়টি এখন টক অব দ্যা ফটিকছড়িতে পরিণত হয়েছে।
 
সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সুয়াবিল এলাকায় অবৈধ উপায়ে টিলা কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল আমিন। সেখান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর ও দুটি ড্রাম ট্রাক আটক করে প্রশাসনের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
 
পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ফেব্রুয়ারী) ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে এস্কেভেটর ও গাড়ি দুটিকে ছেড়ে দেয়া হলেও রার্ষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন এক লক্ষ দশ হাজার টাকা। 
 
এবিষয়ে অভিযোগকারী যুবদল নেতা আমান উল্লাহ বলেন- টিলা কাটার অপরাধে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালিয়ে এসিল্যান্ড আমার একটি এস্কেভেটর ও দুইটি ড্রামট্রাক আটক করে নিয়ে যায়। পরদিন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। 
তিনি  আরো বলেন- এ কাজে এসিল্যান্ডের সাথে মধ্যস্থতা করিয়ে দেয়ায় ওই অফিসের পিয়নকেও ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন- জরিমানার অংক ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বলে ভূলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেদিনের আদায়কৃত অর্থের রশিদ দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে এসিল্যান্ড জানান, যেদিন গাড়িগুলো ছাড়িয়ে নেয়, সে দিন আমি ছুটিতে যাচ্ছিলাম, তাড়াহুড়ার কারনে রশিদ দিতে পারিনি। 
 
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন- এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা  হবে। তবে তাঁর বদলির আদেশের ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার স্যার ভাল বলতে পারবেন। এমন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।