ঢাকা ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
শিরোনামঃ
মাধবপুরে রাজখালে মাত্রাতিরিক্ত দুষণ মিলেছে ল্যাব টেস্টে টেকনাফ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছেন বিজিবি  ঈশ্বরগঞ্জে সমন্বয়ক হত্যার হুমকি শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ, নিদারুন কষ্টে তিস্তা পাড়ের মানুষজন উখিয়া'র বনবিভাগ গুঁড়িয়ে দিলেন নির্মাণধীন ২ টি স্হাপনা  ফটিকছড়িতে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে ইট ভাটায় বিক্রির হিড়িক ! চাঁপাইনাববগঞ্জ আন্ত কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট মুশুরীভুজা স্কুল এনড কলেজ চ্যাম্পিয়ন ঠাকুরগাঁওয়ে সেতু নির্মাণ কাজ রেখে পালিয়েছেন ঠিকাদার, দুর্ভোগে এলাকাবাসী রংপুর ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন সরিষাবাড়ীতে বিপুল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ, নিদারুন কষ্টে তিস্তা পাড়ের মানুষজন

#
news image

আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে উঠা-নামা করছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যা হলেই তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পুরো এলাকা। এই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী ও তিস্তা নদী বেষ্টিত নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার স্বাভাবিক জীবনযাপন। বিশেষ করে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোত তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে বসবাসকারীদের জীবন হয়ে উঠেছে কঠিন দুর্বিষহ।

এসব চরাঞ্চলে কারও কারও শীতবস্ত্র থাকলেও অধিকাংশ মানুষের নেই প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। সরকারি ও বিভিন্ন এনজিওর কম্বল মিললেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বাজার থেকে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্যও নেই অনেকের। তীব্র শীতের সঙ্গে লড়াই করে কষ্টসহিষ্ণু জীবনযাপন করছেন চরাঞ্চলের মানুষ। 

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের বাইশপুকুর   গ্রামের দিনমুজুর হযরত আলী (৫০)  জানান, শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করেই সাতসকালে চরে যেতে হয় জমি হালচাষ করতে। শীত নিবারণে গরম কাপড় নেই তাঁর। শীত লাগলেও সংসারের তাগিদে তাদের ছুটতে হয় কাজের সন্ধানে।

টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চর  এলাকার কৃষক আব্দুল হালিম (৪৫) জানান, ঠাণ্ডায় শরীর থরথর কাঁপছে, কিন্তু কৃষি কাজের উপকরণ নিয়ে ছুটতে হচ্ছে চরে। তীব্র শীতের মধ্যেও  ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া আর ফসলের পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের।

গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা জমিলা খাতুন বলেন, এই ঠান্ডায় আর চলাফেরা করতে পারি না। একটা কম্বল পাইলে শীত নিবারণ করা যাইত। একটা কম্বলও এবার কেউ দিলো না।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডিমলা  উপজেলা উপজেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে দুঃস্থ মানুষের কষ্ট বেড়েছে অনেক। আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি, তবে চাহিদা অনেক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া বলেন, সরকারি বরাদ্দের ৫ হাজার ৫০০টি কম্বল ইতিমধ্যে উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিতরণ করা হবে।

ডিমলা উপজেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

২২ জানুয়ারি, ২০২৫,  3:51 PM

news image

আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে উঠা-নামা করছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যা হলেই তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পুরো এলাকা। এই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী ও তিস্তা নদী বেষ্টিত নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার স্বাভাবিক জীবনযাপন। বিশেষ করে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোত তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে বসবাসকারীদের জীবন হয়ে উঠেছে কঠিন দুর্বিষহ।

এসব চরাঞ্চলে কারও কারও শীতবস্ত্র থাকলেও অধিকাংশ মানুষের নেই প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। সরকারি ও বিভিন্ন এনজিওর কম্বল মিললেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বাজার থেকে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্যও নেই অনেকের। তীব্র শীতের সঙ্গে লড়াই করে কষ্টসহিষ্ণু জীবনযাপন করছেন চরাঞ্চলের মানুষ। 

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের বাইশপুকুর   গ্রামের দিনমুজুর হযরত আলী (৫০)  জানান, শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করেই সাতসকালে চরে যেতে হয় জমি হালচাষ করতে। শীত নিবারণে গরম কাপড় নেই তাঁর। শীত লাগলেও সংসারের তাগিদে তাদের ছুটতে হয় কাজের সন্ধানে।

টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চর  এলাকার কৃষক আব্দুল হালিম (৪৫) জানান, ঠাণ্ডায় শরীর থরথর কাঁপছে, কিন্তু কৃষি কাজের উপকরণ নিয়ে ছুটতে হচ্ছে চরে। তীব্র শীতের মধ্যেও  ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া আর ফসলের পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের।

গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা জমিলা খাতুন বলেন, এই ঠান্ডায় আর চলাফেরা করতে পারি না। একটা কম্বল পাইলে শীত নিবারণ করা যাইত। একটা কম্বলও এবার কেউ দিলো না।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডিমলা  উপজেলা উপজেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে দুঃস্থ মানুষের কষ্ট বেড়েছে অনেক। আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি, তবে চাহিদা অনেক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া বলেন, সরকারি বরাদ্দের ৫ হাজার ৫০০টি কম্বল ইতিমধ্যে উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিতরণ করা হবে।

ডিমলা উপজেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।