ঢাকা ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
শিরোনামঃ
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ৫১তম গ্রীষ্নকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ৫১তম গ্রীষ্নকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পিরোজপুর জেলার কৃতি সন্তান ২৪ পদাতিক ডিভিশনের (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান ১৪ই অক্টোবর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রাজশাহীর জেলা পরিষদের প্রশাসকের বিভিন্ন পূজামন্ডপ নেত্রকোনার বারহাট্টায় বৃষ্টিপাতের সময় বিলে মাছ মারতে গিয়ে বজ্রপাতে সেলিম সিদ্দিকী (৫৩) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) সরকার অসীম কুমার রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মচারীগনের সংগে মতবিনিময় করেন নেত্রকোনায় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সূচনা মাধবপুরে ১০কেজি গাঁজাসহ  এক মাদক কারবারি আটক সাগর ও নদীর তীব্র ভাঙ্গনে অস্তিত্ব হারাতে  বসেছে সুন্দরবনের ১৪টি বন অফিস সহ জামতলা সী-বিচ

ফুলের রঙে স্বপ্ন বুনছেন রায়গঞ্জের ফুলচাষী রাজ্জাক

#
news image

 ফুল নিয়ে রয়েছে কত শত উপমা, কত সহস্র কবিতা। নানা রঙ ও সৌরভে ফুল মানুষকে আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন প্রকার আনুষ্ঠানিকতায় ফুল হলো অপরিহার্য উপকরণ। প্রেম নিবেদনেও প্রকৃষ্ট মাধ্যম হলো ফুল। ফুলপ্রেমিদের হাতে ফুল তুলে দিতে রায়গঞ্জে একজন সফল ফুলচাষী হলেন আব্দুর রাজ্জাক। বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করে তিনি আর্থিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, রায়গঞ্জের ধানগড়া ইউনিয়নের জয়ানপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের ফুলের বাগান। উপজেলার আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য অনুকুল। বিভিন্ন দিবসে ফুলের ব্যবহার বাড়ায় ফুলচাষ দিনে দিনে এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আব্দুর রাজ্জাক জানান, চলতি মৌসুমে ২০ শতাংশ জমিতে দেশি ও বিদেশি জাতের গাঁদা ফুলচাষ করেন তিনি। ফুল চাষাবাদে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫৫ হাজার টাকা। দেড় মাসের মধ্যে ফুলে ফুলে ভরে যায় তার ক্ষেত। তারপর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত ফুল বিক্রি করে আয় করেছেন প্রায় ২০ হাজার টাকা। আরো প্রায় এক লাখ টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে। এতে ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় ও পাশর্^বর্তী এলাকার ফুল ব্যবসায়ীরা তার ক্ষেত থেকে ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে ফুল চাষের সাথে জড়িত। গাঁদা ফুল যে কোন ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে এঁটেল দো-আঁশ মাটি বেশি উপযুক্ত। এজমি হতে হবে অপেক্ষাকৃত উঁচু, যাতে করে পানি দাঁড়াতে না পারে। আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে জমিতে ফুল চাষ করি। আমার সংসার চালাতে এখন আর কোন কষ্ট নেই। তার এই ফুল চাষ দেখে কয়েকজন বেকার যুবককের মাঝেও আগ্রহ দেখা গেছে। তিনি বলেন, কোন সাহায্য পেলে আগামী বছর বেশি করে জমি লিজ নিয়ে গাঁদা ফুলসহ রজনী গন্ধ্যা, জারবারা এবং গ্লাডিউলাস ফুল চাষ করবেন তিনি। রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, ফুল চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। আব্দুর রাজ্জাক এই উপজেলায় একজন সফল ফুল চাষি। তাকে অনুকরণ করে কেউ যদি ফুল চাষে আগ্রহী হয়, আমরা তাকেও সব ধরনের সহযোগিতা করবো। 

 

রাশিদুল হাসান রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ

১৭ জানুয়ারি, ২০২৪,  2:51 PM

news image

 ফুল নিয়ে রয়েছে কত শত উপমা, কত সহস্র কবিতা। নানা রঙ ও সৌরভে ফুল মানুষকে আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন প্রকার আনুষ্ঠানিকতায় ফুল হলো অপরিহার্য উপকরণ। প্রেম নিবেদনেও প্রকৃষ্ট মাধ্যম হলো ফুল। ফুলপ্রেমিদের হাতে ফুল তুলে দিতে রায়গঞ্জে একজন সফল ফুলচাষী হলেন আব্দুর রাজ্জাক। বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করে তিনি আর্থিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, রায়গঞ্জের ধানগড়া ইউনিয়নের জয়ানপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের ফুলের বাগান। উপজেলার আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য অনুকুল। বিভিন্ন দিবসে ফুলের ব্যবহার বাড়ায় ফুলচাষ দিনে দিনে এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আব্দুর রাজ্জাক জানান, চলতি মৌসুমে ২০ শতাংশ জমিতে দেশি ও বিদেশি জাতের গাঁদা ফুলচাষ করেন তিনি। ফুল চাষাবাদে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫৫ হাজার টাকা। দেড় মাসের মধ্যে ফুলে ফুলে ভরে যায় তার ক্ষেত। তারপর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত ফুল বিক্রি করে আয় করেছেন প্রায় ২০ হাজার টাকা। আরো প্রায় এক লাখ টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে। এতে ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় ও পাশর্^বর্তী এলাকার ফুল ব্যবসায়ীরা তার ক্ষেত থেকে ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে ফুল চাষের সাথে জড়িত। গাঁদা ফুল যে কোন ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে এঁটেল দো-আঁশ মাটি বেশি উপযুক্ত। এজমি হতে হবে অপেক্ষাকৃত উঁচু, যাতে করে পানি দাঁড়াতে না পারে। আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে জমিতে ফুল চাষ করি। আমার সংসার চালাতে এখন আর কোন কষ্ট নেই। তার এই ফুল চাষ দেখে কয়েকজন বেকার যুবককের মাঝেও আগ্রহ দেখা গেছে। তিনি বলেন, কোন সাহায্য পেলে আগামী বছর বেশি করে জমি লিজ নিয়ে গাঁদা ফুলসহ রজনী গন্ধ্যা, জারবারা এবং গ্লাডিউলাস ফুল চাষ করবেন তিনি। রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, ফুল চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। আব্দুর রাজ্জাক এই উপজেলায় একজন সফল ফুল চাষি। তাকে অনুকরণ করে কেউ যদি ফুল চাষে আগ্রহী হয়, আমরা তাকেও সব ধরনের সহযোগিতা করবো।