ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
৩১ দফা বাস্তবায়নে নওগাঁয় রাতভর বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি কোম্পানীগঞ্জে এনটিআরসিএ কর্তৃক সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিটিএ'র সংবর্ধনা  উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাগেরহাটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও  মানববন্ধন মাধবপুরে খাস জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা  মাঠি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব বাগেরহাটে মহিদুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যাঃ আটক ২  বেলকুচিতে ৪৮টি গরুসহ খামার পেলেন আত্মসমর্পন করা ৬৭ চরমপন্থী শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী টঙ্গী কলেজে লিফলেট বিতরণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা বাগেরহাটের পচা দিঘী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পে ৪২০০ কোটি টাকা সাশ্রয়

#
news image

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রথম স্যুয়ারেজ প্রকল্পে প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। মূলত এ প্রকল্পের জন্য আলাদা করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ার কারনে এ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৪১০ কোটি টাকা বেড়ে গেছে।

ওয়াসার তথ্যমতে, আধুনিক স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায় নগরীর হালিশহর এলাকায় বসছে প্রকল্পটির মূল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। পুরো ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৬৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে সরকারের অনুমোদন পাওয়া আরো দুটি স্যুয়ারেজ প্রকল্পের ট্রিটমেন্ট প্লান্টও একই স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে। যার কারনে একসঙ্গে তিনটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের মাধ্যমে ইতিহাসের ব্যতিক্রমী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এতে পৃথক পৃথক ভাবে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ায় প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পয়োঃপাইপ লাইন বসানো হচ্ছে। এর মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার অগভীর এবং ২০ কিলোমিটার গভীর পাইপলাইন। বর্তমান পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তায়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীর প্রায় ২০ লাখ নাগরিক আধুনিক স্যুয়ারেজ সংযোগ সুবিধা পাবেন। অপরদিকে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, পিডব্লিউডি রেট সিডিউল পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ডিজাইনে টেকসইকরণ আনতে গিয়ে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। এর আগে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার ২২০ কোটি টাকা। সেইসাথে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল একনেক সভায় এই ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, সুয়ারেজ প্রকল্পের আরো ক্যাচমেন্ট পতেঙ্গা ও কাট্টলীর দুটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট একই জায়গায় করার সিদ্ধান্ত এসেছে। এতে পৃথকভাবে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ার ফলে প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদনের সময় ডলারের মূল্যের চেয়ে বর্তমানে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসার সুপেয় পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কাজ শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত ওয়াসা পানি সরবরাহের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর চট্টগ্রাম ওয়াসা স্যুয়ারেজের এ প্রকল্প গ্রহণ করে।

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

২৮ এপ্রিল, ২০২৫,  11:13 PM

news image

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রথম স্যুয়ারেজ প্রকল্পে প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। মূলত এ প্রকল্পের জন্য আলাদা করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ার কারনে এ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৪১০ কোটি টাকা বেড়ে গেছে।

ওয়াসার তথ্যমতে, আধুনিক স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায় নগরীর হালিশহর এলাকায় বসছে প্রকল্পটির মূল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। পুরো ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৬৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে সরকারের অনুমোদন পাওয়া আরো দুটি স্যুয়ারেজ প্রকল্পের ট্রিটমেন্ট প্লান্টও একই স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে। যার কারনে একসঙ্গে তিনটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের মাধ্যমে ইতিহাসের ব্যতিক্রমী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এতে পৃথক পৃথক ভাবে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ায় প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পয়োঃপাইপ লাইন বসানো হচ্ছে। এর মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার অগভীর এবং ২০ কিলোমিটার গভীর পাইপলাইন। বর্তমান পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তায়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীর প্রায় ২০ লাখ নাগরিক আধুনিক স্যুয়ারেজ সংযোগ সুবিধা পাবেন। অপরদিকে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, পিডব্লিউডি রেট সিডিউল পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ডিজাইনে টেকসইকরণ আনতে গিয়ে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। এর আগে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার ২২০ কোটি টাকা। সেইসাথে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল একনেক সভায় এই ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, সুয়ারেজ প্রকল্পের আরো ক্যাচমেন্ট পতেঙ্গা ও কাট্টলীর দুটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট একই জায়গায় করার সিদ্ধান্ত এসেছে। এতে পৃথকভাবে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ার ফলে প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদনের সময় ডলারের মূল্যের চেয়ে বর্তমানে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসার সুপেয় পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কাজ শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত ওয়াসা পানি সরবরাহের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর চট্টগ্রাম ওয়াসা স্যুয়ারেজের এ প্রকল্প গ্রহণ করে।